নড়াইলে কালিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর ছাত্রদল আহ্বায়কসহ সাত জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মালামাল লুটের অভিযোগে কালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন এক নারী।বুধবার (৬ আগস্ট) মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ওই চাঁদাবাজির মামলাটি দায়ের করেন কালিয়া পৌরসভার ছোট কালিয়া গ্রামের আকিজ শেখের স্ত্রী রহিমা খানম।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা ইউসুফ, পৌর কৃষকদলের আহ্বায়ক গোলাম রসুল মান্দার শেখ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহ্বায়ক মো. ইমরান শেখ ওরফে খোকন, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মিকাইল ওরফে ধলু শেখ, মো. ইনামুল শেখ ওরফে কালু, মো. মিরাজ শেখ ও মো. সাদ্দাম শেখ।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদীর স্বামী আকিজ শেখ কালিয়া পৌরসভার কালিয়া মোড়ে রড সিমেন্টের ব্যবসা করেন। বাদীর স্বামী বিদেশে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে তার দেবর মো. লিকু শেখ দোকানটি পরিচালনা করে আসছিলো। ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট আসামিরা দোকানে এসে লিকু শেখের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে দ্বিতীয় দফায় আবারও দোকানে এসে চাঁদা দাবি করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা লিকু শেখকে মারধর করে। দোকান থেকে রড, সিমেন্ট ও নগদ টাকা এবং দোকানের সামনে থাকা অব্যবহৃত ৩টি ট্রলিসহ মোট ১২ লাখ ২৪ হাজার টাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কালিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা ইউসুফ। তিনি বলেন, এ মামলাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই।
জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি শুনেছি থানায় একটি মামলা হয়েছে। কেউ এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে থাকলে থানায় মামলা হলে আমাদের কি করার আছে।
দলীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনার সত্যতা পেলে অবশ্যই দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলা বলেন, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। সত্যতা পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।